সাফল্যের পথ সবসময় সহজ নয়। একজন উদ্যোক্তাই জানে তারা কত ক্লান্তিকর ও অবিরাম প্রচেষ্টায় সফলতার জন্য অপেক্ষা করেছেন। আমাদের প্রকল্পের অনুপ্রেরণাদায়ী লিড মডেল উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন হলেন মোঃ গোলাম কিবরিয়া পরাগ। তাঁর সাফল্যের গল্প থেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আরও অনেক মানুষ। বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলাস্থ সান্তাহার রেলগেট সংলগ্ন সোনার বাংলা মৎস্য খামার ও হ্যাচারি নামের ছোট একটি মৎস্য খামার দিয়েই তাঁর ব্যবসার শুরু। তাঁর হ্যাচারিটি পরিবেশবান্ধব হ্যাচারি হওয়ায় অত্র এলাকায় বহুল পরিচিত এবং মৎস্য রেপু-পোনা ক্রেতাদের কাছে একটি বিশ্বস্ততার জায়গা। নতুনত্ব প্রিয়, অনুসন্ধানী মনা, অভিযোজিত এই উদ্যোক্তা সর্বদাই নিয়োজিত গুনগত ও মানসম্মত মৎস্য বীজ উৎপাদনে। এছাড়াও তিনি বিলুপ্ত প্রায় মাছ সংরক্ষণ, ক্ষুদ্র পরিসরে মৎস্য খাদ্য উৎপাদন, পুকুর পাড় সবুজায়নের মাধ্যমে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি একুরিয়াম/বাহারী মাছ চাষ শুরু করেছেন। তাঁর অধীনের কর্মীদের দিকে লক্ষ্য রেখে তিনি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফার্স্ট এইড বক্স, সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার, বিশ্রাম স্থান, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র প্রভৃতি ব্যবহার এবং সর্বপরি উত্তম মৎস্য চাষ অনুশীলনের মাধ্যমে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্মত মৎস্য পন্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে সফল হয়েছেন। এ পর্যায়ে তিনি উদ্যোক্তার উদ্যোগকে পরিবেশবান্ধব এবং উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাইরের প্রিমিয়াম বাজারে প্রবেশায়ন, ই-মার্কেটিং ও বাজার সংযোগে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিশ্ব ব্যাংক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তায় টিএমএসএস কর্তৃক বাস্তবায়িত সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর আওতায় পরিবেশবান্ধব ফিশারীজ উদ্যোগ উন্নয়ন উপ-প্রকল্প টিম তাঁর এই অর্জনকে অভিনন্দন জানায়।
শেখ মোঃ মোহায়মেনুল হক
প্রকল্প ব্যবস্থাপক, এসইপি-ফিশারিজ,
টিএমএসএস।